, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে আফগানদের ইতিহাস

  • আপলোড সময় : ২৪-১০-২০২৩ ০৯:৩১:৩৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-১০-২০২৩ ০৯:৩১:৩৩ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে আফগানদের ইতিহাস
এবার বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল আফগানিস্তান। এবার তারা পাকিস্তানকে হারিয়ে আরও বড় চমক দেখিয়েছে। বাবর আজমদের দেয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্য ৮ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে গেছে আফগানরা। ওয়ানডেতে এটাই আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। এ ছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে এবারই প্রথম জয়ের দেখা পেল দলটি।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে আফগানিস্তানকে স্বপ্নের মতো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান। এই দুজনেই যোগ করেন ১৩০ রান। গুরবাজ ৫৩ বলে ৬৫ রান করে আউট হয়েছেন শাহীন আফ্রিদির শিকার হয়ে। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ইব্রাহীম ফিরেছেন ১১৩ বলে ৮৭ রান করে। তিনি হাসান আলীর বলে ব্যাকফুট পাঞ্চ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন।

আর তাতেই রহমত শাহর সঙ্গে তারা ৭০ রানের জুটি ভাঙে। এরপর বাকি সময়টা দেখেশুনে খেলে আফগানিস্তানকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রহমত ও হাসমতউল্লাহ শহীদি। তৃতীয় উইকেটে এই দুজনে যোগ করেছেন অবচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটি। রহমত ৮৪ বলের ইনিংসে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৭৭ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ৪৫ বলে ৪৮ বলে অপরাজিত ছিলেন হাসমতউল্লাহ শহীদি।

তাদের ব্যাটে ভর করে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো জয় পেল আফগানরা। এর আগে এই ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমেই পাওয়ার প্লেতে ছক্কা হাকানোর ১৬ মাসের আক্ষেপ মিটিয়েছেন আব্দুল্লাহ শফিক। তিনি নাভিন উল হককে ছক্কা হারিয়ে ২২ ইনিংস ও ১ হাজার ৩৬২ বল পর পাকিস্তানকে পাওয়ার প্লেতে ছক্কার স্বাদ এনে দেন।

এর আগে সর্বশেষ গত বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছক্কা হাঁকিয়েছিল পাকিস্তান। এদিন ইমাম উল হকের সঙ্গে ওপেনিংয়ের দারুণ জুটি গড়েন শফিক। দুজনে পাওয়ার প্লেতে যোগ করেন ৫৬ রান। ইমাম অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২২ বলে ১৭ রান করা ইমাম আউট হয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে নাভিন উল হকের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

এরপর শফিক ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ বলে ৫৮ রান করেন। পাকিস্তানের এই ওপেনারকে এলবিডব্লিউ করে আউট করেছেন আফগান স্পিনার নূর আহমেদ। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সাউদ শাকিল দ্রুত ফিরে গেলে কিছুটা বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। যদিও অধিনায়ক বাবর আজম একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন ৯২ বলে ৭২ রানের ইনিংস। তিনি আউট হয়ে গেলে শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদের দারুণ এক জুটিতে তিনশোর কাছাকাছি যায় পাকিস্তান।

এই দুজনে ৪৫ বলে ৭৩ রানের বড় এক জুটি গড়েছেন। ইফতিখার ২ চার ও ৪ ছক্কায় ২৭ বলে করেন ৪০ রান। শাদাবের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস। ৩ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের সবচেয়ে সফল বোলার নূর। আর ২টি উইকেট নিয়েছেন নাভিন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ওমরজাই ও মোহাম্মদ নবি।
সর্বশেষ সংবাদ
বিদ্যুতায়িত পিকনিকের বাস, প্রাণ গেল ৩ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর

বিদ্যুতায়িত পিকনিকের বাস, প্রাণ গেল ৩ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর